নিরাপত্তাজনিত কারণে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে বন্ধ থাকায় টেকনাফ স্থলবন্দরকে ঘিরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট তৈরি হয়েছে। আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সরকার যেমন বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকাও চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানি–রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী এনামুল হাসান বলেন, বন্দর বন্ধ থাকায় সরকার বছরে হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বন্দরই ছিল টেকনাফ অঞ্চলের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস। দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দ্রুত সীমিত পরিসরে হলেও বন্দর চালুর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্থলবন্দরের শ্রমিক সর্দার আবুল হাশিম বলেন, টানা ৯ মাস ধরে বন্দর বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক পরিবার ধারদেনা করে দিন কাটাচ্ছে। কবে আমদানি–রপ্তানি চালু হবে, সেই অপেক্ষায় সবাই দিন গুনছেন।
এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন চৌধুরী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল থেকে বন্দর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ সময় বন্দর পরিচালনায় প্রতি মাসে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হলেও কোনো আয় নেই। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় নির্বাহ করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা দূর না হলে বন্দর পুনরায় চালু করা কঠিন হবে। তবে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে বন্দর চালু এবং একই সঙ্গে মিডিয়া ও জনসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা গেলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হতে পারে বলে মত দেন সংশ্লিষ্টরা।
0 Comments