দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার। ছুটির দিন না হলেও রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে বালুকাবেলায় অবকাশ যাপনে সময় কাটাচ্ছেন আগত পর্যটকেরা।
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আলিমুর রহমান জানান, শীত মৌসুমে কক্সবাজারের সৌন্দর্য আরও নান্দনিক হয়ে ওঠে। পরিবার নিয়ে সকালেই এসেছেন এবং তিন দিন থাকার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে পর্যটকের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হোটেল ভাড়া ও অতিরিক্ত খরচ নিয়ে ভোগান্তির কথাও উঠে এসেছে। গাজীপুর থেকে আসা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আট বন্ধু মিলে ঘুরতে এসে একটি হোটেলে প্রতি রুম চার হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। তার মতে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলের অধিকাংশেই বর্তমানে কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না এবং অনেক হোটেলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, চলতি বছরের শেষ দশ দিনে কক্সবাজারে প্রায় পাঁচ লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শহরের আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বড়দিনের ছুটি ও পরবর্তী সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামী দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকেই বাড়তি তৎপরতা চালানো হচ্ছে। কোনোভাবেই পর্যটকদের হয়রানি সহ্য করা হবে না এবং অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, পর্যটকদের সহায়তার জন্য নির্ধারিত হেল্পলাইন নম্বর ০১৩২০১৬০০০০-এ যোগাযোগ করলে টুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে।
0 Comments