টেকনাফে মালয়েশিয়া পাচার রুখে দিল বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সাগরপথে ট্রলারে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় তাদের মধ্য থেকে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান। গ্রেপ্তার ব্যক্তি মো. তারেক (৩০), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লম্বাবিল ঘোনাপাড়ার আলী আহমেদের ছেলে।
বিজিবি জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়—একটি সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র ট্রলারে করে সাগরপথে অবৈধভাবে মানুষকে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বিজিবির একাধিক টহল দল টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন রাজারছড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকার ঝোপঝাড়ে কৌশলগত অবস্থান নেয়।
এ সময় পাচারের প্রাক্কালে ভুক্তভোগীদের ট্রলারে তোলা হলে বিজিবি চারদিক থেকে ট্রলারটি ঘিরে ফেলে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলার তল্লাশি করে ১৮ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে হত্যা মামলার আসামি মো. তারেকও ছিলেন, যিনি গ্রেপ্তার এড়াতে সাগরপথে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি আরও জানায়, ভুক্তভোগীরা জানান—কর্মসংস্থান, ভালো বেতন ও উন্নত ভবিষ্যতের প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচার চক্রটি তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। মাথাপিছু অর্থের বিনিময়ে তাদের বিদেশে পাচারের প্রস্তুতি চলছিল। এ চক্রের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রতিনিধিরাও জড়িত রয়েছে।
লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, মানবতাবিরোধী এ ধরনের জঘন্য অপরাধ দমনে বিজিবির কঠোর নজরদারি ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি সর্বদা বদ্ধপরিকর।

Post a Comment

0 Comments