অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শহিদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন,
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র গঠনের প্রতিটি স্তরে শ্রমিক সমাজের অবদান অপরিসীম। শ্রমিকদের ঘাম ও শ্রমের বিনিময়েই আজকের বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। আগামী দিনেও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণমানুষের অধিকার রক্ষায় শ্রমিক জনতাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠন এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আদর্শিক শ্রমিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী বলেন,
“শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত না হলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। শ্রমিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে শ্রমিক সমাজকে সংগঠিত ও সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে।”
অন্য বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, শ্রমিকরা যেন কোনোভাবেই শোষণ ও বঞ্চনার শিকার না হয়, সে জন্য সংগঠিত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করার আহ্বান জানান তারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন উখিয়া উপজেলার সভাপতি মুহাম্মাদ রিদুয়ানুল হক জিসান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি আমান উল্লাহ। সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উখিয়া উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি কোর্টবাজার স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয়ে কোর্টবাজার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা শ্রমিক অধিকার, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।
0 Comments