যুদ্ধবিমানে মৃত্যু, ভোলার মাসুমার ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

সিবি ডেক্স: ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত অফিস সহকারী ভোলার মাসুমা বেগমের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিহত মাসুমার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মো. আব্দুল্লাহর পড়াশোনার পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল উত্তরার দিয়াবাড়ি শুক্রভাঙ্গা এলাকায় নিহত মাসুমার ভাড়া বাসায় গিয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বার্তাটি পৌঁছে দেয় এবং সহায়তা হস্তান্তর করে।

রিজভী মাসুমার স্বামী মো. সেলিমের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, উপদেষ্টা আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান সজীব এবং সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জামিল হোসেন।

মাসুমার স্বামী মো. সেলিম বলেন, “তারেক রহমান আমার ছেলে আব্দুল্লাহর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন। দিয়াবাড়ি স্কুলে ছেলেটি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আমি গাড়িচালক, অভাবের তাড়নায় ভোলা থেকে ঢাকায় এসেছিলাম। স্বামী-স্ত্রী মিলে সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু মাসুমার মৃত্যুর পর ছেলের পড়াশোনা চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন তারেক রহমানের সহযোগিতায় কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছি।”

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন লাগলে অফিস সহকারী মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুলাই সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। ২৭ জুলাই সকালে জানাজা শেষে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের দক্ষিণ কোড়ালিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে যান।