যশোরে টানা দুই দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

পরপর দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে। শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার তা নেমে আসে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রোববার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও শীতের প্রকোপ কমেনি। হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবারের আগে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭, বুধবার ৯ দশমিক ৯, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ২, সোমবার ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি।
কনকনে শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও জীবিকার তাগিদে অনেককে কাজে বের হতে হচ্ছে।
রিকশাচালক সিরাজুল ইসলাম ও রফিউদ্দিন জানান, শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, ব্রেক ধরতেও কষ্ট হচ্ছে। দিনমজুর রজব আলী ও গোলাম রসুল বলেন, শীতের ভোরে কাজের জন্য বের হওয়া কষ্টকর হলেও পেটের দায়ে যেতে হচ্ছে।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। যশোর শহরের দড়াটানা, মুজিব সড়ক, স্টেডিয়ামপাড়া ও বিভিন্ন মার্কেটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গরম পোশাক কেনাবেচা চলছে।
এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, শীতে শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

Post a Comment

0 Comments