শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুড়ুইল মধ্যপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নিহত মারুফার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মুকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত মারুফা বগুড়া সদর উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়া এলাকার মাহবুবের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মারুফার এক চাচাতো বোনের বিয়েতে নাচানাচির একটি ভিডিও টিকটকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মুকুল মিয়া মারুফার গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ওই রাতেই মরদেহটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়ে সিমেন্ট দিয়ে মুখ ঢেকে দেন।
পরবর্তীতে বিষয়টি আড়াল করতে মুকুল মিয়া দাবি করেন, তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করতে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তিনি নিজেই বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার জানান, জিডির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হলে মুকুল মিয়ার বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করেছেন যে টিকটক ভিডিওকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য কলহের জেরে তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে মরদেহ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিহত মারুফার পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘাতক স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
0 Comments