বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, এটি দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তবে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, দখলবাজির মতো অভিযোগগুলোও এই ক্ষোভ সৃষ্টির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরিরা বিএনপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বদনাম করছে। অন্যদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “অশ্লীল স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক সংঘাত উসকে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, যাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায়।”
অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা এটিকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন এবং ১৫ জুলাই বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
দলের অভ্যন্তরে কেউ কেউ স্বীকার করছেন, নেতাকর্মীদের কিছু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বিএনপি বিব্রত, তবে দলের অবস্থান বরাবরই অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক দলটির ভেতরকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও জনমতের বিভাজনকেও সামনে নিয়ে আসছে।
0 Comments