টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের প্রায় সাত ঘণ্টা পর বন থেকে মো. শামীম (১০) নামের এক শিশুকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে তার পরিবার। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শামীম সখীপুর উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা মো. শাহিন পেশায় নলকূপের মিস্ত্রি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। দীর্ঘ সময় ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তারা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। রাত সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, শিশুটির মাথার সামনের অংশে গুরুতর আঘাত রয়েছে এবং সেখানে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
উদ্ধারের সময় শামীমের পরনে ছিল লাল রঙের একটি হাফপ্যান্ট। শামীমের নানা করিম সরদার ও মামা সাব্বির হোসেন জানান, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির এখনো জ্ঞান ফেরেনি। কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে—তা তারা বুঝতে পারছেন না। এ বিষয়ে সকালে থানায় মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন চৌধুরী জানান, নিখোঁজের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। পরে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
0 Comments