এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে আমি আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আজ একটি নতুন দায়িত্বের আহ্বানে সাড়া দিয়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। আল্লাহ যদি তাওফিক দেন, তাহলে উখিয়া-টেকনাফের নির্যাতিত, বঞ্চিত ও মজলুম মানুষের কণ্ঠ হয়ে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চাই।”
মনোনয়ন সংগ্রহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধি এবং অসংখ্য সমর্থক। নেতাকর্মীরা জানান, নূর আহমদ আনোয়ারী দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে তারা উখিয়া-টেকনাফের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে দেখছেন।
স্থানীয় একাধিক নাগরিক জানান, ২২ বছরের চেয়ারম্যান জীবনে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, মাদরাসা উন্নয়ন, এতিমখানা ও দরিদ্র মানুষের সহায়তায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত। ফলে তাঁকে সংসদে পাঠানোর বিষয়টি এলাকার মানুষের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে।
মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, “আমি রাজনীতি করতে আসিনি ক্ষমতার জন্য, এসেছি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। উখিয়া-টেকনাফের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যেসব বৈষম্য ও অবহেলার শিকার, সেগুলো সংসদে তুলে ধরাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”
অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। সবাই একবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, যেন তিনি অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীকে উখিয়া-টেকনাফের মজলুম মানুষের কণ্ঠ হয়ে জাতীয় সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দেন।
এলাকাবাসীর কণ্ঠে তখন একটাই প্রার্থনা—
“হে আল্লাহ, এই মানুষটিকে কবুল করুন, আমাদের কণ্ঠস্বর হয়ে সংসদে দাঁড়ানোর তাওফিক দিন।” আমিন।
0 Comments