ঘটনাটি ঘটে ৭ জুলাই সকাল পৌনে সাতটার দিকে, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের হিমছড়ি সৈকত এলাকায়। সেদিন চবি শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান, কে এম সাদমান রহমান ও আসিফ আহমেদ গোসলে নেমে সমুদ্রে ভেসে যান। এর মধ্যে দুই ঘণ্টা পর ভেসে আসে সাদমান রহমানের মরদেহ, আর ৮ জুলাই সকালে পাওয়া যায় আসিফ আহমেদের লাশ। কিন্তু উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র এখনও নিখোঁজ।
তল্লাশিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ড্রোন উড়িয়ে অংশ নেয় এবং উপকূলীয় এলাকা, নদীর মোহনা ও গভীর সাগর পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়। সি-সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, এটি গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নিখোঁজ থাকার ঘটনা। সাধারণত তিন দিনের মধ্যেই মৃতদেহ ভেসে ওঠে।
অরিত্রর বাবা সাকিব হাসান, ঢাকায় একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক। ছেলের খোঁজে কক্সবাজার ছুটে এসে প্রতিদিন প্রহর গুনছেন সমুদ্রতীরে। মায়ের কণ্ঠেও একই আর্তি—"এই অথই সমুদ্রে তো আমি আমার ছেলেকে রেখে যেতে পারি না। যেকোনো অবস্থায় আমি ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।"
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তল্লাশি অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না অরিত্রের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়। পরিবারের প্রত্যাশা এখন শুধুই একটাই—অরিত্র যেন ফিরে আসে, যেকোনো অবস্থায়।
0 Comments